করোনা ভাইরাস কি জীবাণু অস্ত্র
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক স্তরে আরো একটি তথ্য সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয় আর তা ৩৯ বছর আগে প্রকাশিত একটি বেস্ট সেলার বইকে কেন্দ্র করে ১৯৮১ সালে আমেরিকার থ্রিলার লেখক ডিন কুন্সএই বইটি লেখেন। বইয়ের নাম “দ্যা আইস অফ ডার্কনেস”। ডিন কুন্সের পাঠকরা লেখেন, লেখক এই বইয়ে করোনাভাইরাস বিষয়টি সেই ৩৯ বছর আগে হুবহু বইতে লিখেছেন। তার বইয়ে একটি জীবাণু অস্ত্রের কথা লেখা আছে উহান-৪০০। ডিন কুন্স লিখেছেন চীনের উহানে জীবাণু অস্ত্র তৈরীর কারখানা অবস্থিত এবং এই ভাইরাসটি মানুষের তৈরি অণুজীবের ৪০০ তম সংস্করণ হওয়ায় এমন নামকরণ। ফলে বায়োলজিক্যাল উইপন অর্থাৎ জীবাণু অস্ত্র বানাতেই যে করোনা ভাইরাসটি তৈরি করেছিল চীন এমন জল্পনা আবার শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্বে বায়োলজিক্যাল যুদ্ধের শুরু হয়েছিল অনেক আগেই ক্ষমতাশালী দেশগুলোতে এই অস্ত্র তৈরির ইতিহাস বেশ পুরোনো। যুদ্ধে অ্যানথ্রাক্স, ব্রুসেলোসিস, স্মলপক্স, নিউমনিক প্লেগ, গ্ল্যান্ডার্সের মতো নানা ধরনের প্রাণঘাতী ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া একাধিকবার ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত কিউবাতে ডেঙ্গুজ্বরে কয়েক লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। কেউ কেউ বলেন এর সংখ্যা ছিল পাঁচ লক্ষ। ওই সময় কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো অভিযোগ করেছিলেন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল আমেরিকার জীবাণু অস্ত্রের আক্রমণে। পেন্টাগন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দিয়ে থাকে জীবাণু অস্ত্র নিয়ে গবেষণা করার জন্য এমন অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। ১৯৮১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে সামরিক বায়োল্যাব থেকে অ্যানথ্রাক্স রোগের জীবাণু প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র এর ফলে বহু মানুষ মারা যায়। তদন্তের পর প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন এর দায় স্বীকার করে নেয়। করোনার ক্ষেত্রে জীবাণু অস্ত্রের ধারণাও একেবারে বাতিল করে দেওয়া যায় না, কষ্ট ছাড়াই প্রাণঘাতী কোন ভাইরাসের মাধ্যমে শত্রুপক্ষকে তিল তিল করে খতম করে দেওয়ার জন্যই মূলত এই সব ভাইরাস তৈরি করা হয় জৈববিষাক্ত পদার্থ কিংবা ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস এবং ছত্রাকের সংক্রমণ অনুজীবের মাধ্যমে বায়োলজিক্যাল এসব অস্ত্র নাকি পারমাণবিক অস্ত্র থেকেও ভয়ংকর। আসলে মানুষই মানুষের শত্রু সৃষ্টি করে এরপর তারা যখন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন হয়ে ওঠে তখন তা ধ্বংস করার জন্য হিমশিম খায়।
0 comments:
Post a Comment