প্লেগ থেকে করোনাভাইরাস প্রতি ১০০ বছর ছাড়া ছাড়া গোটা বিশ্বকে কাঁপাচ্ছে এই মহামারী
এই মহামারীর ঘটনা গুলি ঘটেছিল ঠিক ১০০ বছর পর পর। তবে এটা কাকতালীয়, নাকি মহামারী আসার এটাই কোনো নির্দিষ্ট প্যাটার্ন? এবং সবগুলিতেই একইভাবে প্রকোপ ছড়িয়েছে, ১৭২০ সালে ইউরোপে সংক্রমক আকার ধারণ। গোটা বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২০ কোটি মানুষ। অত্যধিক মৃত্যুহারের জন্য প্লেগের নাম হয়ে গিয়েছিল ‘ব্ল্যাক ডেথ’।
এরপরই এসেছিল কলেরা ১৮২০ সালে। জল বাহিত রোগ। জল ও খাদ্যের মাধ্যমে এই কলেরা ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করেছিল। এই কলেরা মহামারীতে শুধুমাত্র ভারত ও পূর্ব এশিয়ায় প্রাণ হারিয়েছিল কয়েক লক্ষ মানুষ। এছাড়াও ইউরোপ ও আফ্রিকায় বসন্ত রোগে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষের।
এইসব ঘটনার ঠিক ১০০ বছর পর ১৯২০ সালে আসে স্প্যানিশ ফ্লু। ভয়ঙ্কর মহামারি আকার নেয় এই ইনফ্লুয়েঞ্জা মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিল এই ভয়ঙ্কর জ্বর। এটি গুটিবসন্ত বা পক্স ভেরিওলা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছিল। ১৯১৮ সালে শুরু হয়েছিল, এর ফলে রোগীর ফুসফুসে জল জমে যেত এবং শরীর নীল হয়ে মানুষকে প্রাণ হারাতে হতো। এই রোগটি যত না বয়স্ক মানুষদের হত, তার থেকে বেশি হয়েছিল তরুণ প্রজন্মের ওপর। গুটি বসন্তের টিকা আবিষ্কার এর প্রায় ২০০ বছর পরও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় ৫ কোটি মানুষ। এটি ১৯২০ সাল পর্যন্ত চলেছিল। যার জন্য একসময়ে এর নাম দেওয়া হয়েছিল দ্য ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক।
আবার ঠিক ১০০ বছর পর দুই হাজার কুড়ি সালে বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস ভাইরাসের নাম কোভিড-১৯। চীনের উহান থেকে ছড়ানোর উপর বর্তমানে বিশ্বের ১৫১ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। এখনো পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৬ হাজার মানুষ যদিও ৭০ হাজারের বেশি রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি, আবিষ্কৃত হয়নি কোনো ভ্যাকসিন এবং ওষুধ।
0 comments:
Post a Comment