ওজন কমানোর 10টি কার্যকর টিপস/10 Tips for Weight lose
![]() |
10 tips for successful weight lose |
![]() |
weight lose tips |
কিভাবে সহজে মেয়েরা ওজন কমাতে পারেঃ
বিভিন্ন কারণে মেয়েদের ওজন বাড়তে পারে। বংশীয়, হরমন জনিত সমস্যা, অতিরিক্ত খাওয়া এবং ঘুমানো, বিয়ে পরবর্তী নিয়মিত যৌন সঙ্গমের কারণেও মেয়েরা মোটা হতে পারে। চলুন এবার মেয়েদের ওজন কমানোর উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।![]() |
Drink Water |
১।জল খাওয়ার পরিমাণ ও সময় নির্দিষ্ট করুন: প্রতি দু’ ঘণ্টা অন্তর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি জল খাওয়ারও একটা রুটিন থাকা উচিত৷ খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল খাবেন না৷ অন্তত আধ ঘণ্টা আগে বা পরে জল খান৷ আপনার ওজন 60 কেজি হলে দিনে অন্ততপক্ষে সাড়ে চার লিটার জল খেতে হবে৷ যাঁরা খুব বেশি ঘামেন, তাঁদের আরও একটু বেশি জল খাওয়া প্রয়োজন৷
![]() |
healthy eat |
২।নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর খাবার খান: ওজন কমাতে গিয়ে যাঁরা গোড়াতেই সিদ্ধান্ত নেন যে খাওয়া কমাতে হবে এবং উপোস করতে আরম্ভ করেন, তাঁরাই সবচেয়ে বড়ো ভুলটা করেন এবং সাধারণত তাঁদের ওজন মোটেই কমে না৷ সামান্য কমলেও কিছুদিন পরেই আবার ফিরে আসে৷ ফলে তাঁরা নিয়ম মেনে চলাই বন্ধ করে দেন৷ মেটাবলিজমের হার বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো রাস্তা হচ্ছে প্রতি দু’ ঘণ্টা অন্তর কিছু খাওয়া।
![]() |
healthy eat |
৩।সুষম খাদ্যতালিকা মেনে চলুন: বাঙালিদের সনাতন খাদ্যতালিকায় যা যা থাকে, তার প্রতিটিই আমাদের শরীরের কোনও না কোনও প্রয়োজনে লাগে৷ ভাত বাদ দিয়ে কিনওয়া বা ওটস খেতে আরম্ভ করলে শরীর প্রাথমিক একটা ধাক্কা খাবে, তার ফলে খানিক ওজন কমবে ঠিকই, কিন্তু এই ডায়েটে সারা জীবন চালানো কঠিন৷ তার চেয়ে রোজের খাবারই খান, কিন্তু স্বাস্থ্যকর অপশনগুলি বাছুন৷ মাছের কালিয়া মাসে একবার চলতে পারে, রোজের জন্য সবজি দিয়ে হালকা ঝোল রাঁধুন৷
সবজির মধ্যে, ব্রোকলি, ফুলকপি, পালং শাক, বাঁধাকপি, শিম, লেটুস, শসা, গাঁজর, ইত্যাদি খেতে পারেন। এসব সবজি বেশি বেশি খাবেন। এতে কোন ক্ষতি নেই। রাতের খাবারে সবজির দিয়েই শেষ করুন। এছাড়াও প্রায় সব ফলমূলে এসব পুষ্টিগুণ আছে। তাই হালকা খাবারের সময় ফলমূল খান।
৪।জলখাবার বাদ দেবেন না কখনওই: সকালের জলখাবার খান পেট ভরে, দুপুরে নিয়ন্ত্রিত মধ্যাহ্নভোজ, আর রাতে সামান্য ডিনার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ মাঝে খিদে পেলে খাওয়ার জন্য ফল, ছোলা সেদ্ধ, ডিম সেদ্ধ, বাদাম রাখুন হাতের কাছে৷
![]() |
sweet |
৫।মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন:মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো শরীর ইন্সুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। দেহে ইনসুলিন বেড়ে গেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে দৈনন্দিন খাওয়া খাবার গুলো শরীরে থেকে যায় এবং ওজন বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে ইনসুলিনের মাত্রা কমে গেলে তাড়াতাড়ি খাবার হজম হতে থাকে এবং শরীর থেকে চর্বি কমতে থাকে। খাবার থেকে সুগার এবং কার্বোহাইড্রেড বাদ দিলে ইনসুলিনের মাত্রা কমে আসে। তবে মাঝে-মধ্যে এক আধদিন এক টুকরো মিষ্টি চলতে পারে, তা রোজ খাবেন না৷
![]() |
lean body |
৬। নিয়মিত ব্যায়াম করা: ব্যায়াম করা মানে ব্যায়ামাগারে যেতে হবে, ঠিক তা না। আপনি ঘরে বসে বা আশেপাশে খোলা মাঠেও ব্যায়াম করতে পারেন। তবে ব্যায়ামাগারে যাওয়া উত্তম পন্থা। সারাদিনে ঘরের কাজকর্ম নিজে করলেই ব্যায়াম হয়ে যায়। বাইরে হাঁটতে যেতে পারেন এবং ঘরে স্কিপিং বা লাফদড়ি খেলতে পারেন। গৃহিণী হলে । এখনই ঘরের কাজের মেয়েকে বিদায় করুন। নিয়মিত এগুলো করলেই হবে।
![]() |
oily food |
৭।ভাজাভুজি বাদ দিন খাদ্যতালিকা থেকে: বাড়িতেই হোক বা বাড়ির বাইরে, ভাজাভুজি থেকে দূরে থাকতে হবে৷ প্যাকেটজাত চিপস, চানাচুর, ঝুরিভাজা যেমন চলবে না, তেমনই লুচি-পরোটা-ব্রেড পকোড়াও নিষিদ্ধ৷ কারও জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এক টুকরো কেক খেলে সমস্যা নেই, কিন্তু তা ছাড়া কেক-পেস্ট্রি থেকে দূরে থাকুন৷
![]() |
eating slow |
৮।খাবার ধীরে-সুস্থে চিবিয়ে খান: খাবার খাওয়ার সময় মোটেই তাড়াহুড়ো করবেন না, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান৷ তাতে হজম ভালো হয়, পেট পরিষ্কার থাকে৷
![]() |
night sleep |
৯।দিনে সাত-আট ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক: তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া আর তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যেস রাখলে দেখবেন, দিনটাও অনেক লম্বা লাগছে এবং অনেক বেশি কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন৷
১০।রাতারাতি ফলের আশা করবেন না: যে ওজনটা পাঁচ বছর ধরে একটু একটু করে বেড়েছে, সেটা রাতারাতি কমে যাবে, এমন আশা করবেন না৷ সঙ্গে সঙ্গে ফল না পেলে মুচড়ে পড়ারও কারণ নেই৷ শরীরকে সময় দিন৷
আশাকরি, আজকের এই পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি তাই হয় তাহলে আর্টিকেল টি শেয়ার অবশ্যই করবেন। এবং, নিচে comment করতে ভুলবেননা।
0 comments:
Post a Comment