ব্রণ ও ত্বকের দাগ দূর করার ১০ টি সহজ ঘরোয়া উপায় pimple remove tips
![]() |
pimple face |
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ব্রণ। আমাদের ত্বকের তৈল গ্রন্থি ব্যাটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে এর আকৃতি বৃদ্ধি পায় এবং এর ভিতরে পুঁজ জমা হতে থাকে, যা ধীরে ধীরে ব্রণে পরিবর্তন হয়ে ব্রণের আকার ধারণ করে। সাধারণত টিনেজার মেয়ে ও ছেলে উভয়েই ব্রণ ও ব্রণের দাগ নিয়ে বেশি ভোগে। ব্রণ থেকে বাঁচতে কিছু উপায় অবলম্বন করুন। বাজারের দামি কসমেটিক্স এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি যা সহজেই আপনার ব্রণ কমাতে সাহায্য করবে। আর ঘরোয়া সামগ্রীই সবচেয়ে ভালো আর নিরাপদ। এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও ভয় থাকে না।
ব্রণ ও ত্বকের দাগ দূর করার ১০টি সহজ ও ঘরোয়া উপায়সমূহ:
১।অ্যালোভেরা খুব কার্যকরী দাগ দূর করার জন্য। সরাসরি অ্যালোভেরা গাছের পাতা থেকে রস নিয়ে মুখে লাগাতে পারেন বা অ্যালোভেরা জেল কিনতেও পারেন। যে সমস্ত জায়গায় দাগ রয়েছে, সেখানে অল্প করে নিয়ে লাগিয়ে তিন-চার মিনিট ম্যাসেজ করুন। এবার ধুয়ে ফেলুন। দিনে দু’বার দিতে পারেন। অ্যালোভেরা ত্বকের দাগ হালকা করে, রিজুভিনেট করে ত্বককে। অয়েলি স্কিনের জন্য বিশেষভাবে উপকারী অ্যালোভেরা।
২। চন্দনকাঠের গুঁড়ো ও শঙ্খের গুঁড়ো ব্রণ ও ত্বকের জন্য খুব উপকারী। হাফ চামচ চন্দনকাঠের গুঁড়ো ও হাফ চামচ শঙ্খের গুঁড়োর সঙ্গে হাফ চামচ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে দুইবার করে ব্রণ ও ত্বকের উপর লাগান সপ্তাহে তিন দিন।
৩।মুলতানি মাটিও খুব উপকারী ব্রণ দুর করার জন্য। ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাবের ফলে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এ ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে মুখে মুলতানি মাটি জল দিয়ে পেস্ট করে লাগাতে পারেন। মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ বন্ধ করে সাহায্য করে।
৪। এক চামচ বেকিং সোডা এবং অল্প জল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিয়ে পেস্ট করুন। ওই পেস্ট ত্বকের দাগযুক্ত অংশে দিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করুন। বেকিং সোডা ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখে, মৃত কোষগুলো দূর করে।
৫।কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবংচন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।
৬।অ্যাপল সিডার ভিনিগার
ব্রণের ফলে ত্বকে তৈরি হওয়া দাগ কমাতে এই ভিনিগারের চমৎকার কার্যকরি। প্রথমে আনফিল্টার্ড অ্যাপল সিডার ভিনিগার এবং জল একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর তুলোর বলের সাহায্যে ত্বকের দাগযুক্ত স্থানে লাগিয়ে ১০ মিনিট সময়ে জন্য রেখে দিয়ে জল দিয়ে মুখ খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিতভাবে এই মিশ্রণ লাগালে আপনার ত্বকের কালো দাগ এমনিতেই কমে যাবে।
৭।শশার রস মুখে ব্রণ দূর করতে খুবই কার্যকর। এ ছাড়া স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে এর সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিলেই হবে। যাদের মধুতে অ্যালার্জি নেই, তারা সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন এই মিশ্রণে। সপ্তাহে তিন দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না।
৮।ডিম ব্রণ দুর করতে সাহায্য করে তাকে। ডিমের সাদা অংশ ব্রাশ বা হাতে নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার পর স্কিন টাইপ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটা সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করুন। এছাড়া ডিমের কুসুম প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এবং উজ্জ্বলতাবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে আক্রান্তস্থানে ডিমের কুসুম ব্যবহার করে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৯।ব্রণ হবার একটি অন্যতম কারণ হলো অপরিষ্কার ত্বক। তাই ত্বক রাখতে হবে পরিষ্কার। নিয়মিত স্ক্রাবিং ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে চটকে নিন এক কাপ। এর সাথে মেশা এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চালের গুঁড়ো। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
১০।মধু সরাসরি দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর পরিস্কার জলে ধুয়ে ফেলুন। মধু দ্রুত দাগ হালকা করে। মধুতে রয়েছে হিউমেকট্যান্ট, যা ত্বককে নারিশমেন্ট দেয়। এর স্কিন লাইটেনিং প্রপার্টি ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। ত্বককে ফ্রি র্যাডিকল্স থেকে বাঁচায়, নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে মধু।
আশাকরি, আজকের এই পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি তাই হয় তাহলে আর্টিকেল টি শেয়ার অবশ্যই করবেন। এবং, নিচে comment করতে ভুলবেননা।
This blog Info is fabulous; I must wanna see best more from your writers.
ReplyDeleteover at this website